করোনাভাইরাসের প্রথম ও দ্বিতীয় ওয়েভে (ধাক্কা) তেমন কোনো তারতম্য দেখছেন না পরিকল্পনামন্ত্রী এম.এ মান্নান।
তিনি বলেছেন, ‘আমার দৃষ্টিতে প্রথম ধাক্কা বা দ্বিতীয় ধাক্কায় তেমন কোনো বড় তারতম্য চোখে পড়েনি। করোনায় আক্রান্ত ও সংক্রমণের কথা যদি বলেন অথবা মৃত্যু সংখ্যা যদি বলেন সে রকম আপ-ডাউন রেট কিন্তু দেখিনি।’
বৃহস্পতিবার (০৩ ডিসেম্বর) দুপুরে ওসমানি মেমোরিয়াল অডিটোরিয়ামে কোভিড-১৯ মোকাবিলা এবং টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারে বাংলাদেশ সরকারের নেয়া প্রণোদনা প্যাকেজের দ্বিতীয় সভা ‘কর্মসৃজন ও গ্রামীণ অর্থনীতি পুনরুজ্জীবন’-এ তিনি এ কথা বলেন।
সেকেন্ড ওয়েভ মোকাবিলায় সরকারের প্রস্তুতি বিষয়ে মন্ত্রী বলেন, ‘প্রথম ধাক্কায় আমরা একটু হকচকিয়ে উঠেছিলাম। তারপর আমরা যে কৌশল নিয়েছি সেটা ছিল ত্রিমুখী। মোকাবিলা করো, তারপর আক্রমণ করো। আমরা মোকাবিলা করি, মৃত্যু কমাই, ইফেকশন কমাই, সেবা দেই। সঙ্গে সঙ্গে মানুষের জীবিকা ও কাজ যাতে আরও নিচে নেমে না যায় সে বিষয়টি খেয়াল রাখতে হবে। নইলে কিন্তু ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি তৈরি হবে। প্রথম ধাক্কায় এটা ছিল প্রধানমন্ত্রীর কৌশলী বার্তা। সময় প্রমাণ করেছে তার কৌশল বাস্তব ছিল। অনেকেই একমত ছিলেন না, কিন্তু এটা কাজে দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের জনসংখ্যার অনুপাতে আর্থ-সামাজিক পরিমাপ বিচার করে আমাদের কৌশল মোটামুটি পরিপূর্ণ হয়েছে। আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের অক্সিজেনের যন্ত্রপাতি, ডাক্তার, সেবাখাতে সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ ও কৌশলে বড় কোনো ব্যত্যয় না ঘটিয়ে আমরা প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি।’
সভায় কী-নোট পেপার উপস্থাপন করেন অর্থ বিভাগের সিনিয়র সচিব আব্দুর রউফ তালুকদার।
সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, এসএমই ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন মো. মাসুদুর রহমান, সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট শেখ ফজলে ফাহিম, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সিনিয়র সচিব) ড. শামসুল আলম প্রমুখ।